
সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের ছেড়ে চলে যাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডভোকেট সিগম হুদা জীবনে বহুবিধ সংগঠন করেছেন। জীবনের শেষ সময়ে এসে তিনি আইন বিষয়ক পত্রিকা প্রকাশের ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছার বর্হিপ্রকাশ-
আমাদের লিগ্যাল ভয়েস।
নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁর পরিচিতি তুলে ধরছি-
ফরিদপুরের বিখ্যাত কবীর পরিবারের সন্তান সিগমা হুদা ১০ অক্টেবর ১৯৪৫ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর পিতা মরহুম আকবর কবীর ছিলেন প্রায়ত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের তথ্য উপদেষ্টা। তাঁর চাচা মরহুম হুমায়ুন কবীর ছিলেন স্বাধীন ভারতের প্রথম সরকার নেহেরু সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী। মরহুমা সিগমা হুদার চাচাতো ভাই আলতামাস কবীর ভারতের ৩৯তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন।
পাকিস্তানের লাহোর ও পেশোয়ার কলেজে পড়াশুনা করা সিগমা হুদা ঢাকার বনেদী পরিবারের সন্তান ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আইনজীবি এই দম্পত্তি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরলে সিগমা হুদা গভীর নিষ্ঠার সাথে আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। তিনি আইনজীবিদের নিয়ন্ত্রন সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন। মানবাধিকার ও আইন পেশায় তাঁর অবদানের জন্য তিনি জাতীসংঘের মানব পাচার প্রতিরোধ সংক্রান্ত স্পেশাল রের্পোটার ছিলেন।
তিনি জাতীয় মহিলা আইনজীবি সংস্থা , এসিড সারভাইবাল ফাউন্ডেশন সহ শতাধিক জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির সাথে জড়িত ছিলেন।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই এই কিংবদন্তী আইনজীবি মৃত্যু বরণ করেন।
নাজমুল হুদা- সিগমা হুদা দম্পত্তির ২ কন্যা। অ্যাডভোকেট সেলিমা অন্তরা হুদা ও শ্রাবন্তী আমীনা হুদা।