ভুয়া এনআইডি জালিয়াতি, ৪৪ জনকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন
স্টাফ রিপোর্টার / লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), ট্রেড লাইসেন্স ও টিন সার্টিফিকেট জালিয়াতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৪ জনকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি এই চক্রটি ফ্ল্যাট মালিক কিংবা ক্রেতা সেজে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে লোন নিয়ে প্রতারণা করতো।
মঙ্গলবার খিলগাঁও ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বুধবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করেছে মতিঝিল গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
জানা গেছে, জাতীয় পরিচয়পত্র পরিবর্তন করে তাদের এই কাজে সহায়তা করতেন নির্বাচন কমিশনের কয়েকজন কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে ৪৪ জনকে বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। চক্রটির দ্বারা এখন পর্যন্ত ১১টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রতারণার শিকার হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আব্দুল্লাহ আল শহীদ, আল আমিন ওরফে জমিল শরীফ, খ ম হাসান ইমাম ওরফে বিদ্যুৎ, রেজাউল ইসলাম ও শাহ জাহান। তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার (ঢাকা মেট্রো-গ-২০-৩৭৯৭) জব্দ করা হয়েছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ভুয়া এনআইডি, টিনসহ অন্যান্য তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রতারণা করতো চক্রটি। সেই অভিযোগে গত বছরের ডিসেম্বরে খিলগাঁও ও পল্টন থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়।
তদন্তে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ জানতে পারে, চক্রটি ভুয়া এনআইডি, ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স, ভুয়া টিন সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ঢাকা ব্যাংক লিমিটেডসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ফ্ল্যাট লোন নিয়ে আর পরিশোধ করতো না। টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায় তারা।
প্রাথমিক তদন্তে বিপ্লব নামে একজনকে গ্রেপ্তারের পর সে জানায়, ভুয়া এনআইডি তৈরির সঙ্গে জড়িত নির্বাচন কমিশনের কিছু কর্মকর্তা। ১ মার্চ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে দেয়া তথ্যমতে চক্রের মূলহোতা আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত বাকি লোকদেরও সন্ধান পাওয়া যায়।